ভারতের এলাকাকে নিজের ভূখণ্ডে ঢুকিয়ে যে বিতর্কিত নতুন মানচিত্র বানিয়েছে নেপাল, তা নিয়ে সে দেশের পার্লামেন্টে আলোচনা বুধবার স্থগিত রাখা হল। পার্লামেন্টের এই আলোচনাই নতুন মানচিত্রের সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার দরজাটা খুলে দিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ব লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিন আলোচনায় বসতে চাওয়ায় এ বার নতুন মানচিত্র নিয়ে আগের চড়া সুর কার্যত নামিয়ে দিল কাঠমান্ডুও।
নতুন মানচিত্র নিয়ে দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই এই সপ্তাহে সীমান্তের তিনটি এলাকাকে নেপালেরই বলে দাবি করেছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। মঙ্গলবার ওলি কাঠমান্ডুতে নেপালি সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘ভাবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি পার্লামেন্টকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানির মতো তিনটি এলাকার বিষয়টি ঢাকা-চাপা পড়ে যাবে না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথের সঙ্গে মানস সরোবরের যোগাযোগ গড়ে তুলতে গত ৮ মে একটি নতুন সড়ক পথের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ জানায় কাঠামান্ডু। ওই এলাকায় নেপালের একটি নিরাপত্তা চৌকিও রয়েছে। ওই সময় বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘‘উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওই সড়ক পথটি সম্পূর্ণ ভাবেই পড়ে ভারতীয় এলাকায়।’’