
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ নভেম্বর বিকেল ৪ ঘটিকার সময় মাদকের ভয়াবহতা রোধ করতে সচেতনমূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, লেফটেনেন্ট কর্নেল রফিকুল আলম (ব্যাটালিয়ন কমান্ডার, ৪৭ বর্ডারগার্ড ব্যাটেলিয়ন মিরপুর)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আশরাফুজ্জামান মুকুল (চেয়ারম্যান প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ), শামসুল আলম প্রভাষক মহিষকুন্ডি কলেজ, সৈকত হাসান মানিক, ম্যানেজার সিমান্ত ব্যাংক প্রাগপুর শাখা, আব্দুল আলীম সাচ্চু, সভাপতি দৌলতপুর প্রেস ক্লাব ডি পি সি, উজ্জ্বল হোসেন মেম্বর। সভাপতিত্ব করেন, সুবোধ কুমার পাল ( কম্পানি কমান্ডার প্রাগপুর বর্ডার গার্ড)।
লেফটেনেন্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, মাদক অত্যন্ত শক্তিশালী নেশা সৃষ্টকারী , কেননা শরীর ও মনের অপর এটা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং দ্রুত প্রভাব বিস্তার করে। অধিকাংশের ক্ষেত্রে তিন থেকে চার দিন ব্যবহারের পরই সহনশীলতা সৃষ্টি হয়, অর্থাৎ একই আমেজ পেতে হলে ক্রমেই পূর্বের তুলনায় অধিক পরিমানে মাদক গ্রহন প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
কোনো ব্যবহারকারীর একবার সহনশীলতা সৃষ্টি হওয়ার পর হঠাৎ মাদক গ্রহণ বন্ধ করে দিলে সে অসুস্থবোধ করে একে বলে প্রত্যাহার বা পরিহারজনিত উপসর্গ পরিহার সংক্রান্ত বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে প্রচন্ড বিষণ্ণতা , অনিদ্রা, ঘাম হওয়া, চোখ ও নাখ দিয়ে পানি পড়া, মাংসপেশি লাফানো , ব্যাথা, শীত-শীত ভাব, ডায়রিয়া, বমি, খিচুনি, প্রচণ্ড জ্বর এবং মাদকদ্রব্য গ্রহণের জন্য ব্যাগ্রতা।
শেষ মাত্রা গ্রহণের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরই এসব লক্ষণ শুরু হয় এবং এগুলো সাত থেকে দশ দিন স্থায়ী হতে পারে। অবস অনেকেই মনে করেন মাদকদ্রব্য গ্রহণের ব্যগ্রতা কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে যা নেশা কাটিয়ে তোলার কাজকে বেশ দুরুহ করে তোলে।