চিনা ফৌজের আগ্রাসী আচরণের কারণে লাদাখের পাশাপাশি উত্তেজনার পারদ চড়ছে দক্ষিণ চিন সাগরেও। এই আবহে মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হল মালাবার নৌ মহড়া। ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত চতুর্দেশীয় অক্ষ বা ‘কোয়াড’-এর এই নৌ মহড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেজিংয়ের প্রতি ‘বার্তা’ বলেই মনে করছেন সামরিক ও কূটনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ।
উন্মুক্ত এবং অবাধ সমুদ্র বাণিজ্যপথ তৈরিতে গঠিত ‘কোয়াড’ ইতিমধ্যেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘মাথাব্যথার’ কারণ হয়েছে। ‘কোয়াড’-এর মোকাবিলায় পাল্টা জোট গঠনের তৎপরতাও শুরু হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। এই প্রেক্ষাপটে ১৩ বছর পর মালাবার নৌ মহড়ায় অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘কোয়াড’-কে ‘ন্যাটো’-র ধাঁচে সামরিক অবয়ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৯২ সাল থেকে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মালাবার নৌ মহড়া শুরু করেছিল ভারত। ২০০৭ সালে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে তাতে যোগদান করে অস্ট্রেলিয়া। সে বার জাপান এবং সিঙ্গাপুরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ওই দেশগুলি অংশগ্রহণ করার পরে আপত্তি জানায় চিন। তার জেরে পরবর্তী প্রায় দু’দশক ধরে মালাবার দ্বিদেশীয় মহড়া হিসেবেই চলে আসছিল।