
বিনোদন প্রতিনিধি ঢাকাঃ আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরবো প্রযোজক, পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা রাতুল তালুকদার এর কথা। এবং তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে। কেমন যাচ্ছে তার বর্তমান সময়। বিস্তারিত শুনুন তার নিজের মুখে। (১) এই মিডিয়াতে আপনার প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয় শুরুটা কবে থেকে এবং কিভাবে? ২০১৫ সনে যেকোনো একজনের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয় তার কিছুদিন পরেই একটা টেলিফিল্মে প্রযোজক এবং অভিনেতার খাতায় নাম লেখাই।
(২) এখন কি প্রযোজনা ও পরিচালনায় ব্যস্ত? ২০১৫ সাল থেকেই মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত জীবন পার করছি। তার সাথে ০১ নভেম্বর ২০১৯ ইং থেকে একটি বেসরকারী চ্যানেলে প্রোগ্রাম প্রোডিউসার হিসেবে যোগদান করেছি। সুতরাং বর্তমান সময়টা মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যেই পার করছি। (৩) আপনার প্রযোজনায় ও পরিচালনায় কি কি নাটক মুক্তি পেয়েছে এবং কার কার সাথে? আমি কখনোই আমার কোনো কাজে আমার নাম প্রকাশ করিনি।
তবে অভিনয় যেগুলোতে করেছি শুধু সেগুলো অভিনয়শিল্পী হিসেবে নাম গিয়েছে। মোশাররফ করিম, মীর সাব্বির, জোভান, সজল, নিলয়, ইমন, ইলিয়াস কাঞ্চন, আমিন খান, আফরান নিশো, শতাব্দী ওয়াদুদ, ইরফান সাজ্জাদ, মেহেজাবিন চৌধুরী, মম, মৌসুমী হামিদ, সেহেতাজ, নাদিয়া, অহনা, তানজিল তিশা সহ মোটামুটি অন্যান্য সবার সাথেই কাজ হয়েছে (৪) এইযে আপনার প্রযোজনা, পরিচালনায় ও অভিনয় এগুলো নিয়ে আপনার চুরান্ত ভাবনা কি? দেশ ও দশকে নতুন নতুন গঠনমূলক ভালো কিছু উপহার দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তোলা এবং সকলের কাছ থেকে দোয়া নিয়ে ইহকাল ও পরকালে ভালো থাকা। এর থেকে বেশী কিছু না।
(৫) আচ্ছা আপনার প্রিয় অভিনয় শিল্পী কে এবং প্রযোজনা পরিচালনার জীবনে কোন কস্ট আছে কি। ভালো খারাপ সবাই আমার প্রিয়। যেকোনো কাজে সুখ দুঃখ থাকবেই। তবে মিডিয়া জনিত কিছু কস্ট আছে যেগুলো সারাজীবন মনে রেখে নিজেকে এমনভাবে তৈরী করতেছি যাতে আমার দ্বারা কেউ কোনো কস্ট না পায়। প্রতারণা, বাটপারি, যৌন হয়রানি সহ আমি এমন কোনো কাজ করি না যেটা দিয়ে আমি এবং পবিত্র মিডিয়া সমাজ আর সমাজের মানুষের কাছে ঘৃনায় পরিনত হয়।
(৬) আপনার নিজ জেলা কোনটি আপনার পরিবারের অবস্থান কোথায়? পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদরে আমার বসতবাড়ি। বাবা, মা, বড় একজন বোন ও আমাকে নিয়ে চারজন সদস্যের ছোট্ট একটি সুখী পরিবার ছিলাম আমরা। তবে গত ২২ শে ডিসেম্বর ২০১৫ ইং হঠাৎ স্ট্রোক করে বাবা মারা যান। বর্তমানে বাকি তিনজন মিলেমিশে খুব ভালো ভাবেই একটি একটি দিন পার করছি। তবে প্রতিটা মূহুর্তে বাবাকে খুব মিস করি।
(৭) জীবনে কোন পুরস্কার আছে কী? জীবনে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছি তবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার আমার পরিবারের এবং অন্যদের দোয়া ও ভালোবাসা। (৮) প্রিয় রং? প্রিয় খাবার কি? নির্দিষ্ট কোনো পছন্দ নেই সব রং গুলোই পছন্দের। আর খাবারের বিষয় বলতে গেলে সামনে যখন যেটা পাই তখন সেটাকেই প্রিয় খাবার ভেবে বেশী বেশী খাই। নির্দিষ্ট কোনো খাবারই প্রিয় নেই।
(৯) আপনি ফ্রি সময়ে কি করেন বেশী? বেশীরভাগ সময়ই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়। তবে ফ্রী সময় গল্প লেখি, অবহেলিত মানুষ নিয়ে ভাবি এবং তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা বা পরিকল্পনা করি। এবং যথাযথভাবে চেষ্টা ও পরিকল্পনাগুলো বাস্তবরূপে রূপান্তরিত করি। যেমন আমাদের উপজেলার পার্শ্ববর্তী একটি এলাকায় মসজিদ মাদ্রাসার জন্য এক কানি অর্থাৎ ৮০ কাঠা জমি দিয়েছি।
এরপর আরেকটি পার্শবর্তী এলাকায় বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও মসজিদ করার জন্য পাঁচ কানি জায়গা অর্থাৎ ৪০০ কাঠা জমি বরাদ্দ রেখেছি। এইরকম যেতটুকু পারি অসহায়দের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। (১০) সর্বশেষ দর্শকদের উদ্দেশ্য যদি কিছু বলতেন? সকলের উদ্দেশ্যে বলবো যে মিডিয়া একটি পবিত্র জায়গা। হাজার হাজার মানুষ এখান থেকে বিভিন্নভাবে তাদের এবং তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। তবে সবকিছুর মাঝে ভালো খারাপ আছে।
কিন্তু সমাজ এবং সমাজের মানুষ ভালোটা একটু কম দেখে। খারাপটাকে প্রচার বেশী করে। মিডিয়াতে কিছু অসৎ, লোভী, যৌন হয়রানিকারী ও কিছু প্রতারক চক্র আছে। যারা বিভিন্ন প্রতিভাবানদের এবং মিডিয়াতে কাজ করবে এমন ছেলে মেয়েদের উচ্চ স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণার ফাদে ফেলে। এসব অমানুষদের জন্য সমাজ ও সমাজের অনেক মানুষ মিডিয়াকে ভুল বুঝে, ঘৃনা করে এবং মিডিয়ার নামে সঠিক কিছু না জেনে সমালোচনা করে।
সবাইকে বলবো সবাই সতর্ক হন, মিডিয়াকে ভালোবাসুন, বিদেশী নয় নিজের দেশের নাটক, সিনেমা বেশী বেশী দেখুন এবং প্রচার করে আমাদেরকে আপনাদের জন্য আরো ভালো কিছু করতে উৎসাহিত করুন। এবং যেকোনো কাজেই প্রতারক থেকে সাবধান থাকবেন।